নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামে এক ভাই আরেক ভাইয়ের মাথা ফাটানোর ঘটনায় ৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাটাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহনূর বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা সবাই রাজঘর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই না করেই মামলাটি এফআইআর করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজঘর গ্রামের আমতলি বাজারের পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আমিনুল হাসান বিপ্লবের দোকানের ভাড়াটিয়া ইয়াছিনের কাছে চাঁদা চান যুবলীগ নেতা শেখ শাহনূর। বিষয়টি বিপ্লবকে জানানোর পর ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজঘর গ্রামের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে চায়ের দোকানে শাহনূরকে ডেকে পাঠানো হয়। সম্পর্কে বিপ্লবের ফুফাতো ভাই শাহনূর। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে বিপ্লব পানির গ্লাস দিয়ে শাহনূরের মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবসহ রাজঘর গ্রামের ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৯৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শাহনূর।
মামলায় বিপ্লবসহ বাকি আসামিরা গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে হামলা করে স্থানীয় ছাওয়াল মিয়ার ছেলে ইসরাইলকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শাহনূর পুলিশকে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন বলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন আসামিরা। এরই জের ধরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিরা সবাই মিলে শাহনূরকে প্রাণে মারতে হামলা করে। এ হামলায় শাহনূর তার মাথায় জখম হন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. হোসেন জানান, উত্তেজিত হয়ে বিপ্লব গ্লাস দিয়ে শাহনূরের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘শাহনূরকে আমি মেরেছি। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনার সাথে কোনোভাবেই যুক্ত না।’
এদিকে, ঘটনার কিছু জানেন না এমন অনেককেই মামলায় আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, পুলিশ যাচাই না করেই মামলাটি এফআইআর করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামে এক ভাই আরেক ভাইয়ের মাথা ফাটানোর ঘটনায় ৯৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাটাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহনূর বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা সবাই রাজঘর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই না করেই মামলাটি এফআইআর করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজঘর গ্রামের আমতলি বাজারের পাশে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আমিনুল হাসান বিপ্লবের দোকানের ভাড়াটিয়া ইয়াছিনের কাছে চাঁদা চান যুবলীগ নেতা শেখ শাহনূর। বিষয়টি বিপ্লবকে জানানোর পর ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজঘর গ্রামের কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে চায়ের দোকানে শাহনূরকে ডেকে পাঠানো হয়। সম্পর্কে বিপ্লবের ফুফাতো ভাই শাহনূর। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে বিপ্লব পানির গ্লাস দিয়ে শাহনূরের মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনার পর ১৬ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবসহ রাজঘর গ্রামের ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৯৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শাহনূর।
মামলায় বিপ্লবসহ বাকি আসামিরা গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে হামলা করে স্থানীয় ছাওয়াল মিয়ার ছেলে ইসরাইলকে হত্যা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শাহনূর পুলিশকে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন বলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন আসামিরা। এরই জের ধরে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিরা সবাই মিলে শাহনূরকে প্রাণে মারতে হামলা করে। এ হামলায় শাহনূর তার মাথায় জখম হন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. হোসেন জানান, উত্তেজিত হয়ে বিপ্লব গ্লাস দিয়ে শাহনূরের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।মামলার আসামি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, ‘শাহনূরকে আমি মেরেছি। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনার সাথে কোনোভাবেই যুক্ত না।’
এদিকে, ঘটনার কিছু জানেন না এমন অনেককেই মামলায় আসামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ জানান, পুলিশ যাচাই না করেই মামলাটি এফআইআর করেছে।
নাটাই (উত্তর) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুল্লাহ্ বাহার জানান, বিপ্লব ও শাহনূরের মধ্যে মারামারি হয়েছে। যাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘বাদী যে এজাহার দিয়েছেন সেভাবেই মামলা হয়েছে। আর কেউ কি মার্ডার করে বলে আমি আসামি? বাকিটা তদন্ত করে বলা যাবে।’ সূত্র : দৈনিক আমাদেরসময়
