أَفَأَمِنُوا مَكْرَ اللَّهِ فَلَا يَأْمَنُ مَكْرَ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْخَاسِرُونَ. ﴿الاعراف: ৯৯ ﴾
“তারা কি আল্লাহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত [নির্ভয়] হয়ে গেছে? বস্তুতঃ আল্ল¬াহর পাকড়াও থেকে বাঁচার ব্যাপারে একমাত্র
হতভাগ্য ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়া অন্য কেউ ভয়-হীন হতে পারে না।” (আরাফঃ ৯৯)।
২। আল্লাহ তাআলা আরো এরশাদ করেছেন,
وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ. (ألحجر:৫৬)
“একমাত্র পথভ্রষ্ট লোকেরা ছাড়া স্বীয় রবের রহমত থেকে আর কে নিরাশ হতে পারে? (সূরা হিজর : ৫৬)
৩। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল¬ামকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাবে বলেছেন, ‘কবীরা গুনাহ হচ্ছে .
ألشرك بالله، واليأس من روح الله، والأمن من مكر الله.
“আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা, আল্ল¬াহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করা।”
৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেছেন,
أكبر الكبائر : الإشراك بالله، والأمن من مكر الله والقنوط من رحمة الله واليأس من روح الله. (رواه عبد الرزاق)
“সবচেয় বড় গুনাহ হচ্ছে : আল্লাহর শাস্তি হতে নিজেকে নিরাপদ মনে করা, আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হওয়া এবং আল্লাহর করুণা থেকে নিজেকে বঞ্চিত মনে করা।”
এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায় .
১। সূরা আ’রাফের ৯৯নং আয়াতের তাফসীর।২। সূরা হিজরের ৫৬ নং আয়াতের তাফসীর।
৩। আল্ল¬াহর পাকড়াও থেকে ভয়হীন ব্যক্তির জন্য কঠোর শাস্তির ভয় প্রদর্শন।
সংগ্রহ-কিতাবুত তাওহীদ
